কাশি হবার কারণ :


বিভিন্ন কারণে কাশি হতে পারে ফুসফুসে সংক্রমণ,
নিউমোনিয়াযক্ষা ইত্যাদি কারণেও কাশি হয়ে থাকেকাশি দীর্ঘদিন ধরে কাশি চলার ফলে বুকে ব্যথা হয়ে যায় ক্ষেত্রে চিকিৎসকের নিকট যা্ওয়া উচিতএছাড়াও সাইনাস সমস্যায় নাকের প্রদাহের কারণে দীর্ঘস্থায়ী 
কাশি হতে পারে যদি ধূমপানের কারণে খুসখুসে কাশি হয় 
 তাহলে ওষুধ কোনই কাজে আসবে না তামাক শ্বাস ঝিল্লিকে 
ক্রমাগত ব্যাহত করে এটি একটি অন্যতম কারণ  কাশিরকাজেই  এখন্ই ধূমপানকে না বলুন

 কাশি দূর করার ঘরোয়া পদ্ধতি :


.  বাসক পাতা : 
সেদ্ধ করা বাসক পাতার পানি ছেঁকে নিয়ে কুসুম গরম 
অবস্থায় খেলে কাশির পশম হয় প্রতিদিন  সকালে নিয়মিত 
এই পানি খেতে হবে বাসক পাতার রস দৈনিক  সন্ধ্যায় খেলে
ভালো - দিনেই এর খুব ভালো ফল পাওয়া যায় তেতো ভাব কমাতে রসের সাথে সামান্য চিনি মেশাতে পারেন
মধু 
মধু কাশি কফ কমাতে সাহায্য করে থাকে তবে এক বছর বয়সের  নীচে শিশুদের মধু খাওয়ানো একেবারেই উচিত নয় 
যেভাবে ব্যবহার করবেন :
এক গ্লাস কুসুম গরম পানির সাথে  টেবিল চামচ মধুঅর্ধেকটা লেবুর রস , সামান্য আদার রসের  মিশ্রণ  দৈনিক / বার খেতে হবে
টেবিল চামচ মধু গরম দুধের সাথে মিশিয়ে পান করুন রাতে   ঘুমানোর আগে নিয়মিত পান করুন
দিনে  বার করে  টেবিল চামচ মধু খান
এক গ্লাস কুসুম গরম পানির সাথে১ চা চামচ গোল মরিচের গুঁড়া এবং  টেবিল চামচ মধু মিশিয়ে  দিনে  বার  খেতে 
হবে
. আদা : 
আদা টুকরা করে তার সাথে লবণ মিশিয়ে নিয়ে কিছুক্ষণ 
পর পর খেতে হবেএই পদ্ধতি কাশি দূর করতে বেশ কার্যকরী 
এছাড়া আদা চা করে খেলেও  উপকার পাবেন
 .গরম দুধ   হলুদের মিশ্রণ : 
গরম দুধের সাথে অল্প হলুদ মেশাতে হবে, হলুদমিশ্রিত  দুধ 
কাশি দূর করতে বেশ উপকারী
তুলসী পাতা :
তুলসী পাতা থেঁতলে এতে কয়েক ফোটা মধু মিশিয়ে মিশ্রণ 
তৈরী করতে হবেমিশ্রণটি দৈনিক / বার খেলে কাশি ভালো হয়

 মেন্থল ক্যান্ডি : 
মেন্থল দিয়ে তৈরী ক্যান্ডি বা চকোলেট কাশির জন্য উপকারী
.লবঙ্গ : 
মুখে একটা লবঙ্গ রেখে মাঝেমধ্যে একটু চাপ দিয়ে রস বের 
করে গিলে ফেলুন
গার্গল করা : 
এক গ্লাস কুসুম গরম পানির সাথে  আধা চা চামচ লবণ 
মিশিয়ে ১০/১৫ মিনিট ধরে গার্গল করুন বিরতি দিয়ে 
দিয়ে কয়েকবার গার্গল করুন গার্গল করলে কাশি  গলা 
ব্যথা দুই- কমাতে বেশ কার্যকরএছাড়াও কাশি হলে গরম পানি পান করার চেষ্টা করুন ,গরম 
পানিতে গোসল করুন এতেকরে শরীর থেকে কাশির জীবাণু গুলোকে বের করে দেবেএসব পদ্ধতিগুলো  অনুসরণ করার পর যদি কাশি না কমে
সে ক্ষেত্রে চিকিৎসকের নিকট যা্ওয়া উচিত